ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে পাকিস্তানে ধর্মীয় নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
০৭ মে ২০২৩, ১৩:৩৪ পিএম
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় এক ব্যক্তিকে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল-জাজিরা।
জানা যায়, স্থানীয় ধর্মীয় নেতা নিগার আলমকে মারদান জেলার সাওয়ালধারে বক্তৃতা দিতে বলা হয়। যা দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ( পিটিআই) আয়োজন করেছিল।
একজন স্থানীয় কর্মকর্তা আল-জাজিরাকে বলেন, 'কিছু অবমাননাকর মন্তব্য করার পর তিনি জনতার হাতে নিহত হন'।
জানা যায়, পাকিস্তানের পেশোয়ারের মর্দানে সাওয়ালধারে তেহেরি কি ইনসাফ পার্টির এর সমাবেশ বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন 'পিটিআইর চেয়ারম্যানকে আমি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মতো ভালোবাসি'। এই বক্তব্য দেয়ায় সমাবেশে উপস্থিত জনতার মনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। তারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ প্রথমে আলমকে পাশের একটি দোকানে নিরাপদে নিয়ে আসতে সক্ষম হলেও, জনতা দরজা ভেঙ্গে তাকে জোর করে টেনে বের করে নিয়ে লাঠিপেটা করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
লিঞ্চিংয়ের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে পুলিশকে একজন ব্যক্তিকে জনতার মারধর থেকে বাঁচানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছি। পুলিশ নিজেই অভিযোগ করেছে , তবে বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে, এফআইআরটি সিল করা হয়েছে। '
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানে 'ব্লাসফেমি' অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরের একটি পুলিশ স্টেশনে একটি বিক্ষুব্ধ জনতা প্রবেশ করে, সেল থেকে 'ব্লাসফেমি'র অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে হত্যা করে।
এছাড়া, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, প্রিয়ন্তা দিয়াওয়াদানেজ একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিককে ব্লাসফেমি অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এবং আগুনে পুড়িয়ে দেয়।