পাকিস্তানে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৩০
০৭ অগাস্ট ২০২৩, ০১:১৯ এএম
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হাজেরা এক্সপ্রেস নামক একটি যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়েছে। পাশাপাশি আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০। জেলা কর্মকর্তা ও পুলিশের এক মুখপাত্রের বরাতে পাকিস্তানের সম্প্রচারমাধ্যম জিও এসব তথ্য জানায়।
জিও টিভির খবরে বলা হয়েছে, অনেক মানুষ ট্রেনের একটি বগিতে আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকৃতদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। সেই সঙ্গে সিন্ধুতে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।
জানা যায়, ট্রেনটি করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সারহারি স্টেশনের কাছে এলে হঠাৎ করেই সেটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর শুনেই উদ্ধারকারীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আহত যাত্রীদের উদ্ধার স্থানীয় নবাবশাহ পিপলস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর সিন্ধুর অভ্যন্তরীণ জেলাগুলোতে ট্রেন চলাচল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
পাকিস্তান রেলওয়ের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার (ডিসিও) মহসিন সিয়াল বলেছেন, দুর্ঘটনার খবর শুনেই আমি ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। সারহারি রেলস্টেশনের আউটার সিগন্যালে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনটির অন্তত আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
পাকিস্তানের রেলওয়ে ও বিমান চলাচল মন্ত্রী খাজা সাদ রফিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ট্রেনটি স্বাভাবিক ও নির্দেশিত গতিতেই চলছিল। কিন্তু দুর্ঘটনাটি কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঘটলো, নাকি কেউ পরিকল্পিতভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি নবাবশাহ জেলা প্রশাসককে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাকিস্তানে প্রায়ই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। ২০২১ সালে সিন্ধুতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ঘটা ট্রেন দুর্ঘটনাগুলোতে অন্তত ১৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।