মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৯০০
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৫২ পিএম
মরক্কোর দীর্ঘ ছয় দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা ২৯০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০০০। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া, হতাহতদের উদ্ধারসহ জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য মরক্কোর প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে স্পেন, ব্রিটেন ও কাতারের অনুসন্ধানকারী দল।
সোমবার মধ্যরাতে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৮৬২ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চলের বেশির ভাগই দুর্গম হওয়ায় নিখোঁজদের পরিসংখ্যান জানায়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এর পূর্বে ১৯৬০ সালে আগাদির অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। ২০০৪ সালে দেশটির উত্তর-পূর্বের আল হোসেইমা অঞ্চলে ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিলো ৬২৮ জন৷ ১৯৬০ সালের পর এটি ছিল দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।
৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল আল হাউজ প্রদেশের ইঘিল শহরের কাছে, মারাকেশ শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘর হারিয়েছেন। অনেকর ঘর ধসে না পড়লেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার অনেকে আফটার-শকের ভয়ে মারাকেশের রাস্তায় বা মৌলে ব্রাহিমের মতো কঠিন-বিধ্বস্ত অ্যাটলাস মাউন্টেন শহরে অস্থায়ী ছাউনির নিচে রাত কাটাচ্ছেন। গত চারদিনেও তারা ঘরে ফিরে যাননি।
বিশেষ করে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মারাকেশ, হাউজ, অ্যাটলাস পর্বতমালা এলাকার বহু মানুষই আবার ভূমিকম্প হওয়ার ভয়ে নিজেদের ঘরে ফিরে যায়নি। তাদের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।