হামাস ইজরায়েল যুদ্ধের ইন্ধনদাতা ইরানকে সতর্ক করলো যুক্তরাষ্ট্র
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৮ পিএম
ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য ও এর আশপাশে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র জড়ো করছে। এরই মধ্যে ইজরায়েল গাজায় একটি স্থল অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র জড়ো করার মাধ্যমে ইরানকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে, গাজা ইস্যুতে তারা যেন দূরে থাকে। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের ভয়ংকর হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলের কাছাকাছি তাদের রণতরী, যুদ্ধবিমান ও বিশেষ বাহিনী পাঠায়। এরই মধ্যে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে এসে পৌঁছেছে দুটি মার্কিন যুদ্ধবিমান পরিবাহী রণতরী, যার মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডও রয়েছে। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় যুদ্ধবিমানের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
বিশেষ অভিযান পরিচালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় ২ হাজার মার্কিন নৌসেনাকে কুয়েতে মহড়া চালাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দ্রুত প্রত্যাঘাত করার জন্য পেন্টাগন আরও ২ হাজার সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যকে প্রস্তুত করছে। পেন্টাগন মনে করে, লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ, এমনকি খোদ ইরান মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে আরও উস্কানি দিতে পারে, যা ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতকে আঞ্চলিক রূপ দেবে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বাড়ানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ইরান ও তার অনুসারীদের আগ্রাসী পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখা।
রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড সম্প্রতি ইতালির নৌবাহিনীর সঙ্গে মহড়া শেষ করে। এতে সেনাসদস্য আছেন ৫ হাজার; এফ-১৮ সুপার হরনেট জেট, এফ-৩৫ স্ট্রাইক ফাইটার্স ও এ-১০ ট্যাঙ্ক বাস্টারসহ যুদ্ধবিমান রয়েছে ৯০টি।
মধ্যপ্রাচ্যে এরই মধ্যে বিভিন্ন ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার সেনা মজুত আছে। কেবল কাতারেই আছে ১৩ হাজার সেনাসদস্য; বাহরাইনে আরও ৭ হাজার; সৌদি আরব, জর্ডান, কুয়েতে কমপক্ষে ৩ হাজার করে; ইরাকে আড়াই হাজার ও তুরস্কে আড়াই হাজার সেনাসদস্য রয়েছে।