দক্ষিণ গাজায় ইজরায়েলের স্থল অভিযান শুরু : হামাস কমান্ডারকে হত্যা
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:০৪ পিএম
দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনা করতে ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি বাহিনী। আকাশপথে হামলার পাশাপাশি ট্যাংক নিয়ে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওতে প্রচারিত প্রাথমিক খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে যে বর্তমানে তারা খান ইউনিসের উত্তরে অভিযান চালাচ্ছে। খবর বিবিসি।
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি সেনাদের উদ্দেশে বলেছেন, ইজরায়েলি সেনারা দক্ষিণ গাজায় ‘দৃঢ় ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে’ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে আমরা উত্তর গাজায় জোরালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লড়াই করেছি। এখন দক্ষিণ গাজায় তা করা হচ্ছে।’
ইজরায়েলের সেনারা গাজায় হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করেছে যিনি কিনা ৭ অক্টোবর ইস্জরায়েলে হামলার পেছনে জড়িত ছিলেন এমনটি তিনি জানান বিবিসিকে।
এদিকে, সাত দিনের যুদ্ধবিরতিতে ইজরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। আর তার বিনিময়ে হামাস ১১০ জন ইজরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।
রোববার সকালে খান ইউনিসের বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
আইডিএফ হামলার পূর্বে নির্ধারিত এলাকার মানচিত্র পোস্ট করেছে অনলাইনে। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে, গাজার সাধারণ নাগরিকদের সরে যেতে বলে বিমান থেকে লিফলেট ফেলা হয়েছে।
বিবিসির সাথে রোববার কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রেগেভের। তিনি বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকরা মোটেও তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নয়।
কিন্তু হামাস যেহেতু ঐসব বেসামরিক এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে, ফলে গাজার সাধারণ নাগরিকদের রক্ষা করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। গাজায় হামাসের ব্যবহৃত ৮০০টির মত "সন্ত্রাসী টানেল" পাওয়া গেছে বলে বলছে আইডিএফ। এর মধ্যে ৫০০টি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
আর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন "সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে" প্রায় দশ হাজারের মত বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে আইডিএফ।