মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী : বাবা ডেকেও মিলেনি রেহাই

Anweshan Desk

ডেস্ক রিপোর্ট

২৪ জুন ২০২৪, ১১:১৫ এএম


মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার  ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী : বাবা ডেকেও মিলেনি রেহাই

ছবি : অভিযুক্ত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক

জয়পুরহাট পৌর শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকার হজরত ফাতেমা (রা:) কওমি হাফেজিয়া মহিলা মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (২৩ জুন) বিকেলে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার আসামি মাওঃ আজিজুল হককে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজিজুল ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং জেলা শহরের বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভুগী ওই ছাত্রী মাদ্রাসাটির আবাসিকে থাকেন। ঈদে ছুটি হলে মেয়েকে নিতে তার বাবা গত ১৬ জুন মাদরাসায় যান। কিন্তু মাদরাসার মাসিক বেতন বাকি থাকার কারণে মেয়েকে বাবার সঙ্গে দেখা করতে ও বাড়িতে যেতে দেননি আজিজুল। পরে ওই মেয়েকে না নিয়েই তার বাবা বাড়ি চলে যান। এরপর ঈদের পরেরদিন ১৮ জুন বিকেলে ওই ছাত্রীকে বাগান বাড়িতে নিয়ে যান আজিজুল। এরপর সেখানে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং এ কথা কাউকে বললে হত্যা করার হুমকি দেন। এমনকি বাবা ডেকেও ধর্ষণ থেকে রেহাই পায়নি ওই ছাত্রী। পরে মাদরাসার একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখেন।

শনিবার (২২ জুন) ওই মেয়েটির দুই বান্ধবী মাদরাসায় আসলে সে তাদের ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর তারা পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রোববার (২৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে তিন সহপাঠী পালিয়ে এক সহপাঠীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সহপাঠীর মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর তারা পুলিশের কাছে যান। পুলিশ এসে আজিজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মেয়ের বাবা মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তারের আগ মুহূর্তে আজিজুল হক কখনও বলেন তার ভুল হয়েছে। আবারও কখনও বলছেন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়পুরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক রুবেল হোসেন জানান, রোববার দুপুরের দিকে দুজন মহিলা ও একজন পুরুষ ছোট এক মেয়েকে থানায় আসে। এরপর তাদের কাছ থেকে জানতে পারি শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে । এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজিজুল হককে মাছুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আজিজুল হক প্রাথমিক পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে সে ভুল স্বীকার করে শিশুটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ ।

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে আজিজুল হক ফেন্সিকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। আটক আজিজুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আগামীকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আগামীকাল হাসপাতালে পাঠানো হবে।


Link copied