মসজিদে মাইকিং করে লালনভক্ত বৃদ্ধার বাড়ি ভাঙচুর
২৯ জুন ২০২৪, ১৬:২০ পিএম
![মসজিদে মাইকিং করে লালনভক্ত বৃদ্ধার বাড়ি ভাঙচুর](https://anweshan.news/storage/874/conversions/667f8790f0ce1_IMG_20240626_183339258_HDR_original_1719568540-preview.jpg)
ভাঙ্গা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন লালনভক্ত বৃদ্ধা চায়না বেগম।
কুষ্টিয়ায় মসজিদে মাইকিং করে ৯০ বছরের এক লালনভক্ত এক বৃদ্ধার ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী চায়না বেগমে দাবি, প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারধরেরও শিকার হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন চায়না বেগম। অভিযোগে ওই এলাকার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এনামুল হক, মাতব্বর মোশারফ হোসেন, আনার মণ্ডল ও সাইদুল হাজির নাম উল্লেখসহ ৪৫-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৬টার দিকে অভিযুক্তরা তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে অন্তত লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেন। এমনকি রাতের আধারে সেখানে তাকে পেলে হত্যাও করা হবে।
চায়না বেগম জানান, তার স্বামী আধ্যাত্মিক সাধক লালন সাঁইজির অনুসারী ছিলেন। জীবনের শেষ দিনগুলো স্বামীর কবরে মাথা ঠেকিয়ে কাটিয়ে দেবেন বলে ভেবেছিলেন তিনি।
লালনভক্ত এ বৃদ্ধা বলেন, আমার স্বামী মৃত্যুর আগে বলে গেছেন, কোথাও জায়গা নাহলে তুমি আমার কবরের পাশেই থাকবা। প্রতিবছর বাতাসার সিন্নি হলেও করবা। তার কথা রাখতেই ঘরখানা তৈয়ার করি। কিন্তু এলাকার লোকজন আমাকে না জানিয়েই সব ভেঙে ফেলেছে।
চায়না বেগমের বোন জামাই সাধু শাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, আমাদের অপরাধটা কী? আমরা সাধু সমাজ কি নিজের জমিতেও আর থাকতে পারব না। আজকে সাধুর ঘর কেন ভাঙা হলো? সাধু সমাজকে কেন অপমান করা হলো? মসজিদে মাইকিং করে লোক জড়ো করে ঘর ভাঙা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।