বরগুনার আমতলীতে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা, আহত-৩
২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৪২ এএম
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ- জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু পরিবারের নারীসহ তিন সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে হারুন ডাকুয়া নামের এক ভুমি দস্যু।
এ ঘটনায় (১৮ ডিসেম্বর) স্বপন বিশ্বাস এর স্ত্রী সীমা রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে উক্ত এলাকার মকবুল ডাকুয়ার ছেলে হারুন ডাকুয়া ও শের আলী হাওলাদারের ছেলে আলী আজগর হাওলাদারকে আসামী করে আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে বরগুনা আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মকবুল ডাকুয়ার ছেলে হারুন ডাকুয়া (৪০) ও শের আলী হাওলাদারের ছেলে আলী আজগর হাওলাদার (৫০) পূর্বের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংখ্যালঘু পরিবারের নারী সহ তিন সদস্যকে মারধর করে মারাত্বক জখম করেছে।
আহতরা হলেন, জামিনী কান্ত বিশ্বাসের ছেলে স্বপন বিশ্বাস (৫০), অবিনাশ বিশ্বাসের স্ত্রীর নন্দ রানী বিশ্বাস (৪০) ও স্বপন বিশ্বের মেয়ে স্বর্ণ বিশ্বাস (১৭)।
মারধরের ঘটনায় সীমা রানী বিশ্বাস বলেন, হারুন ডাকুয়ার সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে, উক্ত বিরোধের সমাধানের লক্ষ্যে এলাকার জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা মিলে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে একাধিক বার শালিস বৈঠক হয়েছে, কিন্তু হারুন ডাকুয়ারা শালিস বিচার না মানিয়া আমাদের জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করার পায়তারা চালায়। গত (২৬ ডিসেম্বর আমাদের ভোগ দলীয় জমিতে আমাদের রোপন কৃত ধান কাটিয়া বাড়িতে নিয়ে আসি, পরের দিন সকালে আমার (ভাসুর) স্বামীর বড় ভাই শশধর বিশ্বাসের সাথে ধান কাটার বিষয়ে অহেতুক তর্কে জড়িয়ে হারুন ডাকুয়া ও আলী আজগর হাওলাদার আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় আমাদের তিন জন গুরুতর আহত হয়েছে, আমরা সংখ্যালঘু পরিবার এই হামলার ন্যায় বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে আমতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।