ইসলাম ত্যাগের কারণে নির্বাসিত সন্তান : দেশে বৃদ্ধ মায়ের উপর হামলা
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৬ এএম
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৪নং বাহারছড়া ইউনিয়নের দিঘীর পাড়া গ্রামে ইসলাম ত্যাগ ও নবীকে নিয়ে সমালোচনা করায় হুমকির মুখে জীবন রক্ষার্থে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে দেশ ত্যাগ ও নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন শাহেদ বিন কাশেম (৩৫)। সেই দুর্বলতাকে কেন্দ্র করে বিগত ১০ মাস যাবৎ তাদের জায়গা-জমি দখলের উদ্দেশ্যে বাড়ির আত্মীয়-স্বজনরা তার ধার্মিক পরিবার তথা বৃদ্ধ মা ও ভাই-বোনদের, প্রতিনিয়ত হুমকি, মানসিক হয়রানি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে আসছে। তার বৃদ্ধ মা দীর্ঘদিন যাবৎ সহ্য করার পর আজ রবিবার সকাল ৯টায় কটুকথার প্রত্যুত্তর করলে তার বৃদ্ধ মা, মৃত প্রকাশ আবুল কাশেমের সহধর্মিণী, দিলরুবা বেগমের(৬০) উপর হামলা চালায় প্রতিবেশী আহমদ মিয়া (৬৫)। এতে তিনি রক্তাক্ত হন এবং পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ শাহেদ বিন কাশেম দেশত্যাগ করার পরই তার চাচাতো ভাই আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবুল মুনসুর এর নির্দেশে তাহার চাচা আহম্মদ মিয়া (মুনসুর এর পিতা) শাহেদ বিন কাশেমের জমি দখল করে নেয়। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ওই জমি শাহেদ বিন কাশেমের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। জমি দখল করার উদ্দেশ্যেই তার পরিবারের উপর হুমকি ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে বিতাড়িত করতে চাচ্ছে তার চাচারা। আজ বিকেলে ভূমিদস্যু আহমদ মিয়া ওই ভদ্র মহিলাকে নোংরা ভাষায় গালি দিলে সেটার প্রত্যুত্তর করেন তিনি। ফলে ভদ্র মহিলার উপর হামলা চালায় আহম্মদ মিয়া।
আহত দিলরুবা বেগম অন্বেষণ নিউজকে কান্নারত অবস্থায় বলেন, আমি একজন ধার্মিক মানুষ এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়ি। কিন্তুু তবুও আমাকে বিগত ১০ মাস ধরে খুবই খারাপ কথা বলে। ঘর থেকে বের হলেই নাস্তিক - কুলাংগার এসব বলে গালিগালাজ করে। আজ সকালে আমাকে গালিগালাজ করার উপর আমি প্রত্যুত্তর করি। এতে আহম্মদ মিয়া আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে লাঠি দিয়ে মেরে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে মাড়ায়।
মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে আহত দিলরুবা বেগমের ছেলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, মায়ের চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে মামলা তিনি মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তার নির্বাসিত সন্তান শাহেদ বিন কাশেম জানান, বাকস্বাধীনতা চর্চা করায় আমাকে নির্বাসিত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছে বলুক কিন্তুু আমার মা এবং পরিবার তো ধার্মিক। তাদের কেন এভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে? এটা দেশের কোন সংবিধানে পড়ে? এটা কি কোন সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে? আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অপরাধীদের উপযুক্ত বিচার চাই।