সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সারাদেশে চলছে গণঅনশন
২৩ অক্টোবর ২০২২, ০২:৫১ এএম
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ সংখ্যালঘুদের প্রতি আওয়ামী সরকারের দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে আজ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ এর নেতৃত্বে ২৩ টি সংগঠনের অংশগ্রহণে শাহবাগে গণঅণশন সমাবেশ হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে গনঅনশণ চলছে।
সমাবেশে সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতিসমুহ হলো :
১/ সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ।
২/ বৈষম্য বিলোপ আইন প্রনয়ণ।
৩/দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রনয়ণ।
৪/জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন।
৫/অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন।
৬/পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভুমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন।
৭/ সমতলে আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভুমি কমিশন গঠন।
এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
" গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের তাগিদে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনগণের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার সুনিশ্চিতকরণ এর লক্ষ্যে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুণঃপ্রতিষ্ঠায় এবং সাম্প্রদায়িক-সহিংসতা চিরতরে বন্ধে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি।
রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক বৈষম্য আজ এদেশের ধর্মীয়-জাতিগত আদিবাসী সংখ্যালঘু জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, অস্তিত্বের সংকটে নিক্ষেপ করেছে। এ থেকে উত্তরণে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় মানবাধিকারের আন্দোলন, সম-অধিকারের লড়াইকে এগিয়ে নেয়া ছাড়া আজ আমাদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই।
এ লড়াইয়ের অংশ হিসেবে সরকারি দলের ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে আমরা এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে একই দাবিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখে রোডমার্চ করে ৭ জানুয়ারী ২০২৩ শনিবার বিকেল তিনটায় ঢাকার শাহবাগ চত্বরে সমবেত হয়ে পদযাত্রা সহকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
সুস্পষ্টভাবে আমরা বলতে চাই, নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকারি দলের নিস্ক্রিয়তা ও নির্লিপ্তকে ধর্মীয়-জাতিগত - আদিবাসী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কোনভাবেই মেনে নিবে না। ধর্মীয়-জাতিগত -আদিবাসী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে এটি হবে প্রতারণার শামিল, যা গণতন্ত্র, জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতি রক্ষায় কারো কাছে কাম্য হতে পারে না। "