জামিন নাকচ : মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে পাঠানো হলো কারাগারে
০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:০২ পিএম
নয়া পল্টন সংঘর্ষের উস্কানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদন নাকচ করে শুক্রবার বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম।
বিএনপির এ দুই নেতাকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো আবেদন ছিল না। সে কারণে তাদের এজলাসে হাজির না করে হাজতখানায় রেখেই শুনানি হয়।
ফখরুল ও আব্বাসের পক্ষের জামিন শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, জয়নুল আবেদীন, মহসিন মিয়া, খোরশেদ আলম মিয়া, বোরহান উদ্দিন, ওমর ফারুক ফারুকীসহ আরও কয়েকজন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু, এপিপি আজাদ রহমান, এপিপি তাপস পাল জামিনের বিরোধিতা করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে এর প্রতিবাদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখান।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে গত কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছে দেশের রাজনীতিতে। সহিংসতার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকার তাদের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে।
নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু পুলিশ তাদের অনুমতি দিয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের। এ নিয়ে অনড় অবস্থানে ছিল দুই পক্ষ।
এর মধ্যে গত বুধবার বিএনপি কর্মীরা নয়া পল্টনে জড়ো হলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের এক ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতার মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
এরপর বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে হাতবোমা পাওয়ার কথা বলা হয় পুলিশের তরফ থেকে। গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মীকে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তারপরও বলে আসছিলেন, ১০ ডিসেম্বর তাদের সমাবেশ ‘হবে’। তবে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘সমঝোতা বৈঠকের’ পর অবস্থান বদলের ঘোষণা আসে।
রাতের সেই বৈঠকের পর ভোর রাতে উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল এবং শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায় বলে খবর আসে ; কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানায়।