ধর্ষণের শিকার এবং বেতন বঞ্চিত হয়ে মাওলানাকে খুন করে তার সহযোগী
২০ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৫০ পিএম
মিরপুরের রূপনগর ধর্ষণের শিকার হয়ে এবং বেতন না মাওলানা জালাল উদ্দিন জালালীকে খুন করে তার সহযোগী।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকা থেকে মাওলানা জালাল উদ্দিন জালালীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পাশের বিল্ডিং থেকে তার সহযোগী হাফেজ হাসান আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
পুলিশ জানায় , মাওঃ জালাল উদ্দিন তার সহযোগীকে মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথা বলে কাজে নেন। তবে পুরো বেতন দিতেন না, হাত-পা টেপাতেন। এছাড়াও তিনি তার সহযোগী হাফেজ হাসান আহমেদ ওরফে লাক্ষাতুরাকে দুইবার ধর্ষণ করেন। এই ক্ষোভ থেকে মাওলানা জালাল উদ্দিন জালালীকে কুপিয়ে হত্যা করে হাফেজ হাসান আহমেদ।
এ বিষয়ে মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা বাংলা বলেন, আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে মাদ্রাসার খতিব আহসানুল্লাহ রূপনগর থানায় এসে খবর দেন, রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর রোডের ছয়তলা ভবনের ছয়তলায় ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া মাওলানা জালাল উদ্দিন জালালীর ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ। চাবি পড়ে আছে ফ্ল্যাটের দরজার সামনে। সেখানে রক্তের দাগ। ডাকাডাকি করলে ভেতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ দেখতে পান এবং হত্যার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
তিনি বলেন, তদন্তে পাশের ভবনের সিঁড়ির নিচ থেকে জালাল উদ্দিনের সহযোগী হাসান আহমেদকে আটক করা হয়। তার জামা কাপড়ে রক্তমাখা এবং হাতে ছিল রক্তের দাগ। জিজ্ঞাসাবাদে সে এ ঘটনার দায় স্বীকার করে। জানায়, ক্ষোভ থেকে সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান সরদার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত হাসান জানায়, আজ ফজরের নামাজের পর আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে দিয়ে হাত-পা টেপাচ্ছিলেন জালাল। এ সময় হাসান টাকা চাইলে তিনি পুরো বেতন দিতে অস্বীকার করেন। এসময় হাসান ক্ষুব্ধ হয়ে ছুরি দিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে। তাকে ছুরি এবং বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে ছুরি, বঁটি, মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। ভিকটিমের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।