সিলেটে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৫
৩১ মে ২০২৩, ১৪:৪৮ পিএম
সিলেটের কানাইঘাটে চিকিৎসার জন্য কবিরাজের সন্ধান দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলার পর পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ১১টার দিকে জেলার কানাইঘাট উপজেলার পুরানফৌদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারীপাড়া গ্রামের ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের জুবের আহমদ (২৪)।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সেলিম জানান, ভিকটিমের সঙ্গে দুদু মিয়ার পরিচয় ছিল। তিনি ঘটনার দিন ওই নারীর শিশু সন্তানকে কবিরাজের কাছে দেখানের কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেন।
কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে কৌশলে তিনি কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় ওই নারীকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বীরদল বাজারে থাকা লোকজনের সন্দেহ হয়। এতে দুদু মিয়ার ফোনে তার সহযোগী আব্দুল করিমকে ডেকে এনে ওই নারীকে বীরদল খালোমুরা বাজারে নিয়ে আসেন।
এতেও সন্দেহ হলে স্থানীয় কিছু লোকজনের তাদের আটক করেন। পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন কানাইঘাট বাজারে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই নারীকে রিকশায় তুলে দেন। এ সময় ভিকটিমের পিছু নেয় দুদু মিয়া ও আব্দুল করিম। এক পর্যায় পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে ভিকটিমের রিকশা আসা মাত্রই হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ রিকশার গতিরোধ করে এবং তাকে পুরানফৌদ গ্রামে একটি পুকুরঘাটে ধর্ষণ করে। এতে আহত ভিকটিমের চিৎকারে তার পালিয়ে যান। পরে লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারদের দুপুরে দুপুরে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নেওয়া হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার নারীকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।