১০ শিক্ষার্থীকে মারধর ও মল-মূত্র খাওয়ালেন মাদ্রাসা শিক্ষক!
০৫ জুন ২০২৩, ১৮:৫৭ পিএম
বরগুনার আমতলী পৌর শহরের একটি মাদরাসায় মুঠোফোনে ছবি তোলার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসার ১০ ছাত্রীকে শিক্ষিক তাসলিমা বেগম, তার স্বামী, ছেলেমেয়ে মিলে মারধর করে মলমূত্র খাইয়ে দিয়েছেন।শুক্রবার রাতে আমতলীর মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসার এ ঘটনায় অসুস্থ তিন ছাত্রীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
গত শনিবার (৩ জুন) ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বাড়ি গেলে তাদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ বোধ করে। একপর্যায়ে তাদের পেটে ব্যথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সোমবার সকালে তাদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কাঙ্ক্ষিতা মণ্ডল জানান, সোমবার সকালে মাদরাসায় পড়ুয়া তিন ছাত্রীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুর রশিদ ১০ ছাত্রীকে ‘মলমূত্র’ খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, গত শুক্রবার রাতে মোবাইলে আমার (আব্দুর রশিদের) মেয়ে নুসরাতের ছবি তোলায় শনিবার তাদের বিচার করেছি এবং মাদরাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীরা জানায়, ছবি তোলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিভাকরা রবিবার রাতে শিক্ষক তাসলিমা বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে ওই বিষয়ে বলেন, নোংরা ওই ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ওই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।