টেকনাফে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা : অপহরণের নাটক
২৯ জুলাই ২০২৩, ১৪:০৫ পিএম
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার হ্নীলা ইউনিয়নে দারুস সুন্নাহ নামক মাদ্রাসায় ৮ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে বেঁধে ধর্ষণ করেন সেই মাদ্রাসারই সহ পরিচালক মুফতি আলী আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান।
ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে ধরা খাওয়া থেকে বাঁচতে ওই শিশুকে হত্যা করে মাদ্রাসার পেছনে একটি নর্দমার পাশে সরু গলিতে লাশ গুম করে অপহরণের নাটক সাজায় আসামী।
নিহত শিশু ফারিহা খানম জেরিন (৮) ওই মাদ্রাসারই নূরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপহরণের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সেই ছাত্রীকে উদ্ধারের অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার পেছনে একটি নর্দমায় লাশ পায় র্যাব -১৫। তারপর সন্দেহজনকভাবে তাকে গ্রেফতারের পর এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় ওই ধর্ষণকারী মোহাম্মদ ইরফান।
২৮ জুলাই রাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব -১৫ জানায়, ২৭ জুলাই আসামী ইরফান ছাত্রীকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসায় নিয়েবেঁধে ধর্ষণ করে। এরপর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে দায় থেকে বাঁচতে শিশুটিকে শ্বাসরোধ হত্যা করে লাশ গুম করে অপহরণের নাটক সাজায়। অপহরণের ঘটনাকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য ছাত্রীর মাকে ভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চায় বলে আসামী স্বীকার করে।ইতোমধ্যে লাশের সুরত হালও সম্পন্ন হয়েছে এবং ধর্ষণ ও ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
টেকনাফ থানার ওসি জুবাইর সৈয়দ বলেন, ফারহানকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার বর্ণনা দিয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
ফারিহার নানা এনামুল হক মঞ্জুর বলেন, একটি মাদ্রাসায় এমন নৃশঙস ও বর্বর ঘটনা ঘটবে তা মেনে নিতে পারছি না। এখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও দায়িত্বহীনতা রয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা এই ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।