নিয়মিত মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের বলাৎকার করতেন শিক্ষক
০৩ অগাস্ট ২০২৩, ২২:১৩ পিএম

নড়াইলের কড়লা ইউনিয়নের আগদিয়া জামিয়া ইসলামিয়া রউফিয়া মাদ্রাসা এবং আব্দুর রউফ ওরফে খোকন হুজুরের মাদ্রাসার ৩ ছাত্রকে বলাৎকার ও যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,আব্দুর রউফ ওরফে খোকন হুজুরের নড়াইল সদর উপজেলার আগদিয়া জামিয়া ইসলামিয়া রউফিয়া কওমী মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক মাওলানা লম্পট সিরাজুল ইসলাম বেশ কিছু দিন যাবত মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের (বলাৎকার) যৌন নিপিড়ন করে আসছিল এবং শিশুদের জবাই করার হুমকি দিয়ে শিশুদের সাথে নানা অপকর্ম করে আসছে।
শিশুরা এতোদিন ভয়ে নিপিড়ন সহ্য করে আসলেও শিক্ষকের অনৈতিক অপকর্ম ও অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে এক শিক্ষার্থী সোমবার (৩১ জুলাই) বিষয়টি তার দাদা আওয়ামী- লীগ নেতা মোস্তফাকে বলে। এ সময় দাদা মোস্তফা স্থনীয়দের বিষয়টি জানালে শিক্ষক সিরাজুলের অপকর্ম এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়লে একের পর এক নিপিড়নের শিকার অন্যান্য শিশুরাও মুখ খুলতে শুরু করে।
এমন খবরে এলাকায় ক্ষোবের সৃষ্টি হয় এবং এ খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনা স্থল মাদ্রাসায় এসে শিশুদের স্বাক্ষগ্রহণ করে এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পুলিশ ঐ লম্পট শিক্ষককে আটক করে নড়াইল সদর থানায় নিয়ে যায়।
পরে ভূক্তভোগী শিশুর অভিভাবক ঐ লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় গ্রেফতারকৃত লম্পট শিক্ষক সিরাজুলকে মঙ্গলবার (১আগষ্ট) বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে সোপর্দ করে আদালত অভিযুক্ত লম্পট হুজুরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রউফ ওরফে খোকন হুজুর ও মাদ্রাসার পরিচালক মুফতী সাজিদুর রহমান লম্পট শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে সাথে বহিষ্কার করেন এবং লম্পট শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ডের তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করেন।