ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ে ডকুমেন্টারি মেজর সিনহা হত্যার কারণ
১৩ অগাস্ট ২০২৩, ০১:৪৮ এএম
মেজর সিনহা হত্যার পেছনে বড় কারণ ছিল ইয়াবা বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য বিদায়ী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল। গতকাল শনিবার দুপুরে নাগরিক ফোরামের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবর্ধনা সভায় এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে গিয়ে সদ্য বিদায়ী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার পেছনে বড় কারণ ছিল ইয়াবা। টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ইয়াবা বাণিজ্য জেনে যাওয়ায় সিনহাকে হত্যা করা হয়। সিনহা টেকনাফে ডকুমেন্টারির কাজ করতে গিয়ে প্রদীপের অপরাধের বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন।
তিনি বলেন, মাদক মামলা না থাকলেও কুতুপালং এর বখতিয়ার মেম্বারকে দুই থানার দুই ওসি ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরেরদিন পাওয়া যায় বখতিয়ার মেম্বারের মরদেহ।
কক্সবাজার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধ হলে ১০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে যাবে মন্তব্য করে জেলা জজ ইসমাঈল বলেন, ইয়াবা মামলা জামিন করানোর নামে লাখ লাখ টাকা নিয়ে বসে থাকেন দালালরা, এর মধ্যে একশ্রেণির অসাধু আইনজীবীও রয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার তাদের লোকদের ছাড়িয়ে নিতে মোটা অংকের ফান্ড তৈরি করেন বলেও জানান জেলা জজ।
টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের তল্লাশি চৌকিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হন ২০২০ সালের ৩১ জুলাই। এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস এবং বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল। তখন পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত পুরো কক্সবাজার জেলা পুলিশের প্রায় দেড় হাজার জনকে বদলি করা হয়েছিল।