জান্নাতে নেয়ার লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসায় ছাত্রীকে ধর্ষণ : শিক্ষক গ্রেফতার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৫ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ১৬ বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রীকে ‘জান্নাতে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে’ দুই দিন ধর্ষণ করেছেন শিক্ষক। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মো. শিহাব উদ্দিনকে (৩০) শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাশের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থেকে গ্রেপ্তার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুরে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া তাজিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। মাও শিহাব ওই মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণকারী ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে শয়তান প্ররোচনায় এটি করেছেন বলে জানান।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর মায়ের সূত্রে জানা যায়, মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক শিহাব ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার মেয়ে এতে রাজি ছিল না। প্রায় এক সপ্তাহে আগে তার মেয়েকে মাদরাসার অফিসকক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শিহাব।
শুক্রবারও তিনি একই ঘটনা ঘটান। এ সময় তার মেয়েকে জান্নাতে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয় এবং মাদ্রাসায় একটি কক্ষে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং তার মেয়েকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
পরে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাতেই আসামি শিহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘শিহাব উদ্দিন আমার মেয়েকে জাহান্নামের ভয় এবং জান্নাতের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমরা শিহাব উদ্দিনের বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা ছাত্রী ও শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করেছি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মাদরাসা শিক্ষককে তার নিজ এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা তিনি স্বীকার করেছেন এবং তিনি বলেছেন যে এটি তিনি শয়তানের প্ররোচনায় করেছেন।