অবহেলিত বাঁশখালীর সেবক হতে চান মেজর (অবঃ) সামস
২৩ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৪৬ পিএম
মেজর( অবঃ) সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী (সামস) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একজন মেধাবী মুখ এবং অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব। ছাত্রজীবনে তিনি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
একাডেমিক পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে উর্ধ্বতন কর্মকতা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তৎকালীন সরকারের আমলে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বোমা ডিসপোজাল টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এবং সেই মামলার গঠিত কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । সাক্ষী হিসেবে নিজের পর্যবেক্ষণের তথ্য পরিবর্তনে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে তাঁকে সে সময় চাকরিচ্যুত করা হয়।
পরবর্তীতে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে তাঁকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন করা হয়।
জনাব সামসুদ্দীন পশ্চিম বাঁশখালীর একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা আজিজ আহমদ তালুকদার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় সম্মানিত, পরিচিত ছিলেন । মাতা আনোয়ারা বেগম চন্দনাইশ উপজেলার ৩৬ বছরের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের সাহেবের মেয়ে। তাঁর পিতা মাতা জীবদ্দশায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভূমি দান, আর্থিক আনুকূল্য দান করে পশ্চাৎপদ জনপদে শিক্ষাবিস্তারে ভূমিকা রাখেন।
পিতা-মাতার রক্তের স্রোত সন্তানের উপর সমভাবে বহমান। বর্তমানে পিতা মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত আজিজ আনোয়ারা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মেধা বৃত্তি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
অনুসারী সমর্থকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর ত্যাগ, নিবেদন আর অবস্থান মূল্যায়ন করেন জনাব সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী হবেন বাঁশখালীর আওয়ামী রাজনীতির বড় চমক।কেননা, একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার যে দক্ষতা, যোগ্যতা, কানেক্টিভিটি দরকার সবটাই আছে তার। দেশব্যাপী উন্নয়নের যে মহা যজ্ঞ চলছে সেই মহাযজ্ঞের সঙ্গী হবেন বাঁশখালী ও বাঁশখালীবাসী।