‘১৯৭১- এ ভারত আ.লীগের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানের উপর আঘাত করেছিল’- জামায়েত নেতা
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ১৯৬৫ সালে আমাদের সীমান্তে আপনারা (ভারত) পরাজিত হয়েছিলেন। সেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আপনারা ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানের ওপর আঘাত করেছিলেন। আমরা বলতে চাই, ১৯৬৫ সালের যে ঈমান ছিল— সেই ঈমান এখনও বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে জাগ্রত রয়েছে। অতএব হুমকি দিয়ে লাভ হবে না।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভয়েস অব টাইমসের উদ্যোগে ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পুঁজি করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যর দাবিতে ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে’ এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। তারা (ভারত) আমাদের জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা করেছে। আপনারা শুধু পতাকায় আগুন দেননি, আপনারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে আগুন দিয়েছেন। এটা আপনাদের জন্য ভালো হবে না।
তিনি বলেন, আগামীকাল (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ১৮ বছর পর মন খুলে, প্রাণ উজাড় করে, স্বাধীনভাবে বিজয় দিবস পালন করবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বিডিআর বিদ্রোহের নাম করে ৫৭ জন চৌকস সেনাবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করেছিল। এরপর জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে নাটক সাজিয়ে আইনের নামে অবিচার করে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে একের পর এক ফাঁসি দিয়েছে এবং জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করেছে ১১ জন নেতাকে। আওয়ামী লীগ শাপলা চত্বরকে রক্তে রঞ্জিত করেছিল। এভাবে ভারত বিরোধী শক্তিকে নিঃশেষ করে বাংলাদেশে একটি রাম রাজত্ব কায়েম করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের মিডিয়াকে উস্কে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমরা বলে চাই— আপনারা সত্য খবর পরিবেশন করুন। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই। আমাদের দেশে কোনও সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন হয়নি। হবেও না ইনশাআল্লাহ। অপপ্রচার করে বাংলাদেশের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ বলেন, একটি দেশে যদি অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে তাহলে সেখানে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদ মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠুক আমরা সেটি চাই না।
তিনি আরও বলেন, একটা কথা বার বার বলা হয়— ভারত নাকি যুদ্ধের সময় আমাদেরকে সাহায্য করেছে। আমি এই বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। ভারত তার স্বার্থে বাংলাদেশের মানুষকে সহযোগিতা করার ভান করেছিল। বাংলাদেশে একটি পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে তারা দখল না করলেও, বাংলাদেশকে তাদের মত করে ব্যবহার করতে পারবে। সে কারণেই তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে সাহায্য করার ভান করেছে।
ভয়েস অব টাইমস এর সভাপতি মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, এনডিপি’র মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ।